Atoz Premium এর কাজ কি- Atoz Premium খেলে কি মোটা হয় জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি Atoz Premium এর কাজ কি সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে Atoz Premium এর কাজ কি এবং Atoz Premium খেলে কি মোটা হয় ও Atoz প্রিমিয়াম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব।
Atoz Premium খেলে কি মোটা হয়
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন Atoz premium খাওয়ার নিয়ম এবং Atoz Premium এর দাম কত ও Atoz প্রিমিয়াম বয়স সীমা সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোস্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

মানুষের মুখের রুচি পরিবর্তনশীল। অনেক সময় খাবারের রুচি কমে যায় আবার অনেক সময় খাবারের রুচি বেড়ে যায়। বয়সের উপর নির্ভর করেও মানুষের খাবারের প্রতি চাহিদা কম বেশি হতে থাকে।খাবারের প্রতি মানুষের রুচি থাকা এবং ঠিকমতো খাবার খেতে পারা এটা অনেক বড় একটা সুস্থতা। অনেকে আছে যারা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ঠিকমতো খেতে পারে না।

Atoz Premium এর কাজ কি

এই ওষুধের কিছু বিশেষ কাজ রয়েছে বিশেষ করে যেসব মানুষ স্বাস্থ্যহীনতায় ভোগেন অর্থাৎ শারীরিকভাবে চিকন এবং খাবারের প্রতি ঠিকভাবে রুচি আসে না তাদের জন্য এই ওষুধটি অনেক বেশি কার্যকর। Atoz Premium ওষুধটি যাবতীয় ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়ামের দিকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।


এই ওষুধের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যার ফলে এই ওষুধ খেলে মানুষের খাবারের প্রতি রুচি বৃদ্ধি হয়। যেসব ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগেন তারা এই ওষুধ খেলে শরীর মোটা হবে। এই ওষুধের ভিতরে ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম রয়েছে যার কারণে একজন মানুষের শরীরে ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে সে অভাব দূর করতে সক্ষম হয় এবং শরীরে উন্নতি নিয়ে আসে।

এই ওষুধের আরেকটি নাম হচ্ছে এ টু জেড। এ টু জেড নাম দেয়ার কারণ হচ্ছে এ ওষুধের ভিতরে এ টু জেড যত ভিটামিন রয়েছে সব ভিটামিন থাকে। এ ওষুধের ভিতরে ৩২ রকমের ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যেগুলো একজন মানুষের শরীরের জন্য অনেক বেশি জরুরী। বিশেষ করে এইসব ভিটামিন ও মিনারেলের কারণে খাবারের প্রতি রুচি বৃদ্ধি হয়।

শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে যার কারণে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায় এবং শরীর আস্তে আস্তে মোটা হতে থাকে। যারা স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগেন তারা নিয়মিত এ ওষুধ খেতে থাকবেন। এই ওষুধ খেলে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই মোটা হয়ে যাবেন।

এই ওষুধের ভিতরে যেহেতু 32 রকমের ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যার কারণে মানুষের শরীরে যদি দুর্বলতা ভাব থাকে তাহলে সেই দুর্বলতা ভাব দূর করে তুলে এবং মানুষকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সক্ষম হয়। আপনি যদি আগে ঠিক মত খাবার খেতে পারতেন এবং মাঝখানে খাবার রুচি হারিয়ে গেছে এখন ঠিক ভাবে খেতে পারেন না।

এইসব সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এ ওষুধ খাবেন এ ওষুধ খাওয়ার কারণে আপনার মুখের রুচি আবার ফিরে আসবে এবং আপনি আগের মত আবার খেতে পারবেন এমনকি আপনি আগের চেয়ে খাবার বেশি খেতে পারবেন। যারা চিকন মানুষ আছেন এবং যারা মোটা হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন তাদের জন্য এ ওষুধ হতে পারে সবচেয়ে ভালো সমাধান।

যাদের মুখের খাবার রুচি একেবারে নেই তারাও এই ওষুধ খেতে পারেন। এ ওষুধের কাজ মূলত হচ্ছে চিকন মানুষকে শারীরিকভাবে মোটা করা এবং যাদের মুখে খাবারের রুচি নেই তাদের মুখে খাবার রুচি ফিরিয়ে আনা। আপনি ঠিকমত খাবার খেতে থাকলে এমনিতেই মোটা হয়ে যাবেন সুতরাং আপনাকে এই ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে।

Atoz Premium খেলে কি মোটা হয়

অনেকেই চিন্তা ভাবনা করে থাকেন এবং অনেকের মনের প্রশ্ন আসে Atoz Premium ওষুধ খেলে কি মোটা হওয়া যায় নাকি এ কথা শুধুই প্রচলিত আছে। যারা এই চিন্তা ভাবনা করে থাকেন যে এই ওষুধ খেলে মোটা হওয়া যায় তাদের চিন্তা ভাবনা ১০০% সত্যি। আপনি এতদিন সঠিক চিন্তায় করে এসেছেন।যেসব ব্যক্তি শারীরিকভাবে চিকন এবং দুর্বল তাদের শরীরকে মোটা করতে

এবং শক্তিশালী করতে এ ওষুধের ভূমিকা অতুলনীয়। এই ওষুধের ভিতরে ৩২ রকমের ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যা একজন মানুষের শরীরের জন্য খুব জরুরী। যেসব মানুষেরা চিকন রয়েছে তাদের শরীরে এই ৩২ রকমের ভিটামিন যাওয়ার কারণে তাদের শরীর মোটা হয়ে যায়। যদি কারো শরীরের মধ্যে দুর্বলতা থাকে তাহলে সে দুর্বলতাও দূর করতে পারে এই ওষুধ।

এই ওষুধ খাওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। এ ওষুধ শুধু মোটা করার জন্যই তৈরি করা হয়নি বরং যাদের মুখে খাবারের রুচি নেই তাদের মুখে খাবারের রুচি ফিরিয়ে আনতেও সক্ষম এ ওষুধ। এই ওষুধের মধ্যে যেসব ৩২ রকমের ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে সেগুলো মানুষের শরীরের দিকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে মানুষের শরীর মোটা হয়।

এই ওষুধ শুধু তাদেরই খাওয়া উচিত যাদের মুখে রুচি নেই এবং যারা শারীরিকভাবে চিকন এবং মোটা হওয়ার চেষ্টা করছে তারাই খাবে ওষুধ। এ ওষুধের অপর নাম হচ্ছে এ টু জেড অর্থাৎ এই ওষুধের মধ্যে এ টু জেড যত রকমের ভিটামিন একজন মানুষের শরীরে প্রয়োজন সব রকমের ভিটামিন রয়েছে। আপনি যদি মোটা হওয়ার জন্য এ ওষুধ খেতে চান তাহলে আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।

আপনি মোটা হওয়ার জন্য এ ওষুধ খেতে পারেন। এ ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে একবার পরামর্শ করে নেবেন। পরামর্শ করে দেওয়া আপনার জন্যই ভালো হবে।

Atoz premium খাওয়ার নিয়ম

কোন ওষুধ থেকে উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। নিয়মের বাহিরে ওষুধ খেলে কোনভাবেই উপকারিতা পাওয়া যায় না বরং সেই ওষুধ খাওয়ার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যদি এই ওষুধ খাওয়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে এ ওষুধ ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েরা খেতে পারবে না। যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে তারাই শুধু এই ওষুধ খাবে। যদি কেউ ১৮ বছরের নিচের এ ওষুধ খায় তাহলে তার শরীরে কোন রকমের উপকারিতা আসবে না বরং শরীরে ক্ষতিকর দিকগুলো দেখা দিবে। যারা ১৮ বছরের উপর রয়েছে তারা এই ওষুধ খেলে উপকৃত হতে পারবে।

প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট খাবার পরে খেতে হবে। নিয়মিত খেতে থাকলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার শরীরে কাজ শুরু করেছে এবং আপনি উপকৃত হওয়া শুরু করবেন। যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগেন এবং এই ওষুধ খেতে চান তারা এই ওষুধ খাওয়ার পরে একটা গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নেবেন তাহলে আর গ্যাস্টিকের কোন সমস্যা হবে না।


এ ওষুধ খাইলে নিয়মিত খেয়ে যেতে হবে। একদিন খেয়ে একদিন বাদ দেয়া যাবে না। এভাবে খেলে আপনি উপকৃত হতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম আপনি। তারপরও ডাক্তারের সাথে একবার পরামর্শ করে নিবেন। ডাক্তার যদি ভিন্ন নিয়মে বলে তাহলে আপনি ভিন্ন নিয়মে খাবেন কারণ সবার শরীরের অবস্থা একরকম থাকে না।

Atoz প্রিমিয়াম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কোন ওষুধ যখন অতিরিক্ত মাত্রায় বা নিয়মের বিপরীতে খাওয়া হবে তখনই সেটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। এ ওষুধ খাওয়ার পরে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো একেবারেই বিরল। খুব খুব কম মানুষের শরীরে এসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দেয়।পার্শ্বপ্রতিকরাগুলো হচ্ছে--
  • পেট ফেপে থাকা
  • পেট ব্যথা করা
  • দুর্গন্ধময় ঢেকর ওঠা
  • ডায়রিয়া হওয়া
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেওয়া
  • পেশাবের কালার হলুদ হওয়া
  • শরীরের চামড়া হলুদ হতে শুরু করা
  • বমি বমি ভাব হওয়া
  • শরীর অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া
আপনার শরীরে যদি এসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দেয় তাহলে আপনি তৎক্ষণার ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন। ডাক্তার যে পরামর্শ দেয় সে পরামর্শ গ্রহণ করবেন। ডাক্তার যদি আপনাকে ওষুধ খেতে বারণ করে বা খাওয়ার নিয়ম পরিবর্তন করে দেয় তাহলে সেই অনুযায়ী খাবেন বা খাওয়া একেবারে বাদ দিবেন।

উপরে যে সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো বলা হলো এসব এসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো একেবারে খুব কম মানুষের শরীরে দেখা দেয়। এমনও হয়েছে এখন পর্যন্ত এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো এখনো প্রকাশ পায়নি সুতরাং চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

Atoz প্রিমিয়াম বয়স সীমা

সব ওষুধ সবার জন্য তৈরি করা হয় না। কিছু ওষুধ থাকে যেগুলো ছোট বড় সবার জন্য তৈরি করা হয় আর কিছু ওষুধ থাকে যেগুলো ছোট-বড় মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে তৈরি করা হয়। এই ওষুধ খেতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা বয়সের প্রয়োজন রয়েছে। সেই বয়স হওয়ার আগে এ ওষুধ খাওয়া যাবে না। যাদের বয়স শুধুমাত্র ১৮ বছরের উপরে হয়েছে তারা এই ওষুধ খেতে পারবে।

১৮ বছরের নিচে কেউ ওষুধ খেতে পারবে না। সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মানুষ পর্যন্ত এই ওষুধ খেতে পারবে। ৪৫ বছরের উপরের মানুষদের জন্য অন্য ওষুধ রয়েছে। তাই আপনি যদি ওষুধ খাওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকেন এবং আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয় তাহলে এ ওষুধ খাবেন অথবা আপনার আশেপাশের কোন বন্ধু যদি এ ওষুধ খাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে

এবং তার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে তাকে এ ওষুধ খেতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ ১৮ বছরের নিচে এই ওষুধ খেলে সে সমস্যার এবং ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তাই অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

Atoz Premium এর দাম কত

আপনি এই ওষুধ যে কোন ফার্মেসির দোকানেই পেয়ে যাবেন। কম বেশী প্রত্যেক ফার্মেসী দোকানদারি এ ওষুধ বিক্রি করে থাকে। এই ওষুধ পিস আকারে এবং প্যাকেট আকারে উভয়ভাবেই বিক্রি হয়। এই ওষুধটি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি তৈরি করেছে। আপনি যদি এক পিস ট্যাবলেট কিনতে যান তাহলে আপনার থেকে ১৩ টাকা দাম নেবে।

প্রতি পিস ট্যাবলেট এর দাম ১৩ টাকা এক। প্যাকেটে নয় পিস ট্যাবলেট থাকে।
  • Unit Price: ৳ 13.00 (5 x 9: ৳ 585.00)
  • Strip Price: ৳ 117.00
এই ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই মেয়াদ এবং তারিখ যাচাই-বাছাই করে নিবেন। আপনি এ ওষুধ কিনতে গেলে বা যেকোনো ওষুধ কিনতে যান না কেন সর্বপ্রথম ওষুধের মেয়াদ এবং সে ওষুধ সরকার অনুমোদিত কি না তা ভালোভাবে দেখে নিবেন। যদি ওষুধের মেয়াদ না থাকে তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে তাই অবশ্যই মেয়েদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

Atoz Premium সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন :: Atoz প্রিমিয়াম কিসের জন্য ব্যবহৃত হয়?

উত্তর :: এ ওষুধ মূলত শরীরের ভিটামিন খনিজ এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরের ভিটামিন খনিজের যেইসব ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পূরণ হয়ে যায় এবং শরীর আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত হয়।

প্রশ্ন :: এ টু জেড ট্যাবলেট দিনে ২ বার খাওয়া যাবে কি?

উত্তর :: এই ওষুধ দুইবার খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন একবার করে খাবার খাওয়ার পরে এই ওষুধ খেতে হবে। দুইবার খাওয়ার কারণে আপনি উপকারের পরিবর্তে অপকারিতা বেশি পাবেন কারণ দুইবার খাওয়ার কারণে এটা ওভার ডোস হয়ে যাবে যেটা একজন মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

প্রশ্ন :: প্রতিদিন ভিটামিন এ টু জেড খাওয়া যাবে কি?

উত্তর :: এই ওষুধ থেকে উপকারিতা পেতে আপনাকে প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট খেতে হবে। প্রতিদিন না খেলে আপনি এখান থেকে উপকারিতা পাবেন না। উপকারিতা পাওয়ার জন্য এবং নিজের শরীরকে উপকৃত করতে প্রতিদিন একটি করে ট্যাবলেট খেতে হবে।

প্রশ্ন :: A to z ট্যাবলেট খেলে কি ওজন বাড়ে?

উত্তর :: এ ওষুধ খাওয়ার কারণে মানুষ মোটা হয় এবং খাবারের রুচি বাড়ে। যখন একজন মানুষ ঠিকমতো খাবার খাবে এবং মোটা হবে তখন তার ওজন এমনিতেই বৃদ্ধি হয়ে যাবে। এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে মানুষ মোটা হয় না বরং এ ওষুধ খাওয়ার পরে শরীরে ভিটামিন প্রবেশ করে এবং খাবারের রুচি বাড়ে যার কারণে মানুষের ওজন বাড়তে থাকে।

প্রশ্ন :: এ টু জেড ট্যাবলেট কখন খাওয়া উচিত?

উত্তর :: এ ওষুধ খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে খাবার খাওয়ার পরে। আপনি চাইলে সকালে খাবার খাওয়ার পরে এ ওষুধ খেতে পারেন অথবা রাতে ঘুমানোর পূর্বে খাবার খাওয়ার পরে এ ঔষধ খেতে পারেন। এই ওষুধ খাওয়ার কারণে আপনার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে সে সমস্যা ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন :: A to z ট্যাবলেটে কি বি 12 থাকে?

উত্তর :: এই ওষুধের মধ্যে ৩২ রকমের ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। এ ওষুধকে আরেক নামে ডাকা হয় তা হচ্ছে এ টু জেড অর্থাৎ এ ওষুধের মধ্যে এ টু জেড যাবতীয় ভিটামিন রয়েছে। বিশেষ করে এ ওষুধের মধ্যে অন্য ভিটামিনের সাথে ভিটামিন b12 রয়েছে। এছাড়াও এই ওষুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন ই,

ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, বায়োটিন, এবং ভিটামিন ডি৩। খনিজ যেমন জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়োডিন, কপার, সেলেনিয়াম এবং ক্রোমিয়াম।

উপসংহার

ঔষধ কখনোই নিজের মন মত খাবেন না। খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যদি আপনার শরীরের অবস্থা দেখে আপনাকে এ ওষুধ খেতে বলে তাহলে আপনি এই ওষুধ খাবেন। অন্যথায় নিজে নিজে খেতে গিয়ে উপকারের বদলে ক্ষতিকর দিকগুলো ডেকে নিয়ে আনবেন। তাই অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন তারপরে ওষুধ খাওয়ার দিকে ধাবিত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

AZ TEC MAX নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url