ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হবে- ইনডেভার ১০ কতদিন খেতে হয়

প্রিয় পাঠক আপনি কি ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হবে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই পোস্টটা আপনার জন্য। আমি এই পোষ্টের মধ্যে ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হবে ও ইনডেভার ১০ কতদিন খেতে হয় এবং ইনডেভার খাওয়ার নিয়ম সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হবে
এছাড়াও আপনি এই পোষ্টের মধ্যে পাবেন ইনডেভার 10 এর কাজ কি এবং ইনডেভার ১০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

নিত্য প্রতিদিনের জীবনে মানুষের বিভিন্ন রকমের ওষুধের প্রয়োজন হয়ে থাকে। মানুষ একেক সময় একেক রোগে আক্রান্ত হয় যার কারণে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের ওষুধ খেয়ে থাকে। কিছু অসুখ থাকে যেগুলো মানুষের সবারই বা অধিকাংশ থেকে থাকে যেমন মাইগ্রেনের সমস্যা,উচ্চ রক্তচাপ, প্রেশার,বুক ধবধব করা ইত্যাদি।


এই পোষ্টের মধ্যে আমি ইনডেভার ১০ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি এই পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে ইনডেভার ১০ সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবেন।

ইনডেভার 10 এর কাজ কি

এই ওষুধের নির্দিষ্ট কিছু কাজ রয়েছে। এ ওষুধ এমন কিছু অসুস্থতার জন্য তৈরি করা হয়েছে যে সব অসুস্থতাগুলো মানুষের প্রতিদিনই হয়। এ ওষুধ মানুষের জন্য অনেক উপকারী। এই ওষুধ মানুষের শরীরের ভিতরে মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করতে এ ওষুধ সাহায্য করে। এই ওষুধ যেসব রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে সেসব রোগ হচ্ছে
  • প্রাথমিক উচ্চ রক্তচাপ
  • উদ্বিগ্নতা
  • মাইগ্রেন প্রতিরোধ
  • হৃদপিণ্ড অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন
  • মানসিক চাপ
  • ডিপ্রেশন
  • নিঃশ্বাসের সমস্যা
  • প্রেশারের সমস্যা
  • বুকে ধবধব করা
  • দুশ্চিন্তা
  • ঘাড় ব্যথা
এইসব সমস্যার জন্য এ ওষুধ খাওয়া হয়। এ ওষুধের কাজই হচ্ছে এ সমস্যাগুলোর সমাধান করা। আপনি বা আপনার আশেপাশের কেউ যদি এইসব সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে তাকে ইনডেভার 10 খাওয়ানো যেতে পারে। খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন না। অনেক সময় ডাক্তাররা এ ঔষধ বাদে এইসব রোগের জন্য

জিনেটেক্স 500 এন্টিবায়োটিক সেবন করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তাই অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

ইনডেভার ১০ কতদিন খেতে হয়

কোন রোগের জন্য ওষুধ খেলে সে ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা থাকে। কোন ওষুধ সুস্থ হওয়ার পরে খাওয়ার নির্দেশনা কোন ডাক্তারে বা পৃথিবীর কোথাও কেউ দিবে না। ওষুধটি বিবাহিত অবিবাহিত সবার জন্যই উপকারী কারণ এই ওষুধ যেসব রোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে সেই সব রোগ কমবেশি সবারই হয়ে থাকে।

ইনডেভার ১০ কতদিন খাবেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে অসুস্থতার উপরে। চিকিৎসকরা সাধারণত ইনডেভার ১০ ট্যাবলেটটি ৩০ থেকে ৩২ দিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। ৩০-৩২ দিন শুধু যেসব সাধারন রোগী রয়েছে তাদের জন্য আর যেসব রোগীর সমস্যা বেশি তাদেরকে ইনডেভার ১০ ট্যাবলেট থেকে 40 থেকে 45 দিন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

ওষুধ তার অসুস্থতা এবং শারীরিক সমস্যার দিকে লক্ষ্য করে দেয়। এ ওষুধ রোগের যেসব সমস্যা অর্থাৎ মানসিক চাপ বেশি, উচ্চ রক্তচাপ বা আরো যেসব সমস্যা রয়েছে যে সমস্যাগুলোর জন্য এসব খাওয়া হয় যদি সে সমস্যাগুলো রোগের স্বাভাবিক থাকে তাহলে ডাক্তাররা সর্বোচ্চ ৩০ দিন খাওয়ার নির্দেশনা দিতে পারে

আর যদি রোগীর উচ্চ রক্তচাপ বা পেশারের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে তাহলে 40 থেকে 45 দিন খাওয়ার পরামর্শ দিবে। এই ওষুধ খেতে হয় এমন রোগে আক্রান্ত হলে আপনার সর্বপ্রথম কাজ হবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং ডাক্তার যেভাবে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয় সেভাবে খাওয়া। কখনো কোন ভিডিও বা পোস্ট পড়ে নিজের মন মত ওষুধ খেতে যাবেন না।

এভাবে ওষুধ খেলে আপনার উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হবে। সর্বপ্রথম আপনি অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যে নির্দেশনা দেয় সে নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ হতে পারবে এবং যত সমস্যা থেকে নিজেকে বের করে আনতে সক্ষম হবেন।

ইনডেভার ১০ বেশি খেলে কি হবে

কোন ওষুধে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। যখন আপনি কোন ঔষধ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবেন তখন আপনার ভিতরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি ইনডেভার ১০ খেয়ে থাকেন তাহলে কোন অবস্থাতেই বেশি খাওয়া যাবে না। ডাক্তার যে পরিমাণ পরামর্শ দিবে সেই পরিমাণ খেতে হবে।


আপনি এই ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় বা ডাক্তারের নির্দেশনার বেশি খেলে মাথা ঘুরতে পারে। প্রচুর পরিমাণে মাথা ব্যথা। চুলকানি তৈরি হতে পারে। এলার্জির সমস্যা দেখা দিবে। বুকের মধ্যে ধবধব বেশি করবে। ঘাড়ের রগ টেনে ধরতে পারে। এসব সমস্যাগুলো বেঁচে থাকতে কখনোই এ ওষুধ বেশি খাবেন না।

ডাক্তার যে কয়দিন এবং দিনে যে কয়টি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে সেই পরিমাণই খাবেন তাহলে আপনি কোন রকমের সমস্যার মধ্যে পড়বেন না। যখন আপনি ওষুধ বেশি করে খাবেন তখন আপনার শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হতে থাকবে এবং এবং আপনার শরীরের মধ্যে সমস্যাগুলো বাসা বাঁধতে থাকবে।

তাই অবশ্যই ডাক্তার যে পরামর্শ দেবে সেই পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। কখনো নিজে থেকে আগ বরিয়ে বেশি খেতে যাবেন না

ইনডেভার ১০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রত্যেক ওষুধের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনভাবে অপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উভয়টি রয়েছে। একটা ওষুধ তখনই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিস্তার করে যখন সে ওষুধ শরীরের সাথে ঠিকভাবে না মিশে অথবা খাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। এ ওষুধের ভিতরে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কেউ যদি নিয়ম অনুযায়ী খায় তাহলে সেরকম কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।

ইনডেভার ১০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একেবারে নাই বললেই চলে। এরপরও মাঝেমধ্যে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে
  • শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • মাথা ঘুরা
  • মাথা ব্যথা করা
  • বমি বমি ভাব হওয়া
  • অতিরিক্ত ঘুম আসা
  • এলার্জির তীব্রতা বেড়ে যাওয়া
  • বুক ধপ ধপ করা
  • শরীরের চুলকানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো খুব কম সময় দেখা দেয়। একেবারে দেখা দেয় না বললেই চলে। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই ওষুধ খাওয়ার ফলে যদি এইসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অতিসত্বর অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। ডাক্তার যদি খাওয়ার নির্দেশ দেয় তাহলে খাবেন আর যদি ডাক্তার খেতে বারণ করে তাহলে ওষুধ খাওয়া থেকে একেবারে বিরত থাকবেন।

ইনডেভার ১০ খাওয়ার নিয়ম

কোন ওষুধ থেকে উপকৃত হতে হলে সেই ওষুধ অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী সেই ঔষধ না খান তাহলে কোন ভাবে উপকৃত হতে পারবেন না। প্রত্যেকটি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। তেমনিভাবে ইনডেভার ১০ ওষুধ খাওয়ারও নির্দিষ্ট একটা নিয়ম রয়েছে। এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে--
প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের উপরে):
  • উচ্চ রক্তচাপ: প্রারম্ভিক ৮০ মিগ্রা দিনে দুইবার, বাড়ানাে যেতে পারে সপ্তাহান্তে এবং তারপর চালিয়ে যেতে হবে ১৬০-১৮০ মিগ্রা দৈনিক।
  • এনজিনা পেক্টরিস: শুরুতে ৪০ মিগ্রা দিনে ২-৩ বার এবং তারপর চালিয়ে যেতে হবে ১২০-২৪০ মিগ্রা দৈনিক।
  • থাইরােটক্সিকোসিস: ১০-৪০ মিগ্রা, দৈনিক ৩-৪ বার দৈনিক। তারপর চালিয়ে যেতে হবে ৮০-১৬০ মিগ্রা দৈনিক।
  • মাইগ্রেন এড়াইবার জন্য: শুরুতে ৪০ মিগ্রা দিনে দুইবার, বাড়ানাে যেতে পারে প্রয়ােজন অনুযায়ী এবং তারপর চালিয়ে যেতে হবে ১৬০-১৮০ মিগ্রা দৈনিক।
শিশু (১ দিন হতে ১৮ বছর): উচ্চরক্তচাপ:
  • নবজাতক: ০.২৫-০.৫ মিগ্রা/কেজি দিনে ৩ বার। প্রয়ােজনে মাত্রা পরিবর্তন করা যেতে পারে।
  • ১ মাস বয়সী হতে ১২ বৎসর: ০.২৫-১ মিগ্রা/কেজি দিনে ৩ বার। সর্বোচ্চ ডােজ ৫ মিগ্রা কেজি বিভক্ত মাত্রায়।
  • ১২-১৮ বৎসর: শুরুতে মাত্রা ৮০ মিগ্রা দৈনিক ২ বার, চালিয়ে যেতে হবে ১৬০-৩২০ মিগ্রা দৈনিক।
উপরে যে নিয়ম বলা হলো আপনি যদি এই ওষুধ থেকে উপকৃত হতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী খাবেন। এছাড়াও ডাক্তার যখন এ ওষুধ খাওয়ার জন্য আপনাকে বলবে তখন ডাক্তার থেকে খাওয়ার নিয়ম জেনে নেবেন। ডাক্তার যদি আলাদা কোন নিয়ম বলে তাহলে সেই নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।

উপসংহার

কোনো ওষুধ খেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজ করতে হবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রথমে রোগ দেখাতে হবে। ডাক্তার যদি আপনার জন্য এই ওষুধ সঠিক মনে করে তাহলে ডাক্তার সে ওষুধ দিবে এরপরে আপনি সেই ওষুধ খাবেন। কখনো নিজে থেকে কোন ওষুধ খেতে যাবেন না। নিজে থেকে খেতে গেলে দেখা যাবে উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হবে।

তাই অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর ওষুধ খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

AZ TEC MAX নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url