মাথা ব্যথা কমানোর উপায় এবং দোয়া জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মাথা ব্যথা কমানোর উপায় পাচ্ছেন না,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টের মধ্যে মাথা ব্যথা কমানোর উপায় এবং মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায় বলার চেষ্টা করবো।ধৈর্য্য সহকারে পোস্টটা পড়তে থাকুন।
মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
এই পোস্টে মধ্যে আপনি পাবেন মাইগ্রেনের লক্ষ্মণ, মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া,আরো সমাধান। তাই চলুন এবার পাশের দিকে আগানো যাক

ভূমিকা

সব ধরণেই ব্যথাই অনেক কষ্টকর তবে মাথা ব্যথা সেসবের তুলনায় একটু বেশিই কষ্টদায়ক।আমাদের মাথা ব্যথা হবার জন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে।সেগুলোর মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখ হচ্ছে ২ টা (১) মাইগ্রেনের জন্য ব্যথা (২) টেনশন করার জন্য ব্যথা।এছাড়াও আরো রয়েছে যে নেশা করলে,অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইলে,অতিরিক্ত গরমে থাকলে,অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে, ইত্যাদি।

মাইগ্রেনের লক্ষ্মণ

সাধারণ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে,আর এই সমস্যা ১৫-১৬ বছর থেকে শুরু করে ৪৫-৫০ বছর পর্যন্ত হয়।মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে কখনও একসাথে মাথার দুইপাশে ব্যথা হবে না,যেকোনো এক পাশে ব্যথা হবে,পরবর্তী সময়ে অপরপাশেও ব্যথা হতে পারে।মাথা ব্যথার পরিমাণ এতটাই বেশি হবে যে আপনার প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে সেটা প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়াবে।


আপনি ব্যথার জন্য কোন কাজই করতে পারবেন না।মাঝে মধ্যে ব্যথার পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে সেই ব্যথার কারণে আপনার বমিও হতে পারে এবং পেট ব্যথা,ডায়রিয়া,এই ধরণের রোগও হতে পারে। এছাড়াও সবকিছু থেকে মনোযোগ সরে যাবে। এসবই হচ্ছে মাইগ্রেনের মৌলিক লক্ষ্মণ।

মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায় 

খাবারের ক্ষেত্রে সর্তক থাকতে হবে।কখনও ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকা যাবে না এবং দিনের মধ্যে অল্প অল্প করে কয়েকবারে খেতে হবে যাতে করে পেটে কখনও ক্ষুধার্থ ভাব না থাকে।এবং কাঁচা পেয়াজ,আপেল,দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবার,চিনাবাদাম,মদ,কোমল পাণীয়,সব ধরণের চকলেট এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।ঘুমের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সর্তক থাকতে হবে।

আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন তারপরও আপনাকে ৮ ঘন্টার উপরে ঘুমাতে হবে। ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার জন্য এমনিতেই মাথা ব্যথা হয়,মাইগ্রেনের রোগী ঠিকমতো না ঘুমালে সমস্যা আরো বেশি হবে।ঘুম এবং বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা যে আলো যেন অতিরিক্ত হয়ে না যায় আবার কমও হয়ে না যায়, মাঝারি পরিমাণ আলো থাকবে।

বর্তমানে যেসব কারণে মাথা ব্যথা হয় সেসবের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা হচ্ছে অতিরিক্ত মোবাইল টিপা এবং কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকা।প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহার না করা।মাইগ্রেনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ওষুধের ভূমিকা যতটুকু তার চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে নিয়ম মেনে চলা।আপনি নিয়ম মতো চললে আপনার মাথা ব্যথার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।

আপনি যখন বুঝতে পারবেন আপনার মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে সেসময় প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।আপনার যদি বারবার মাইগ্রেনের ব্যথা জাগতেই থাকে তাহলে আপনি পিজোটিফেন, অ্যামিট্রিপটাইলিন, বিটাব্লকার জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।এতে করে আপনার মাথার ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা যায়।

মাথা ব্যথা কমানোর উপায় 

আপনার যদি নরমাল মাথা ব্যথা হয় তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে আপনি কয়েকঘন্টার জন্য ঘুম দিবেন।ঘুম থেকে উঠে দেখবেন অনেকটাই ভালো লাগছে।কুসুম গরম পানি,ডাবের পানি,জুস,স্যুপ এসব খাইলেও মাথা ব্যথা দূর হয়।চা খেতে পারেন।আদা দিয়ে চা খাইলে অনেক সময় মাথার ব্যথা কমে যাবে।অনেক সময় পানি পান না করার কারণে মাথা ব্যথা হয়। এজন্য মাথা ব্যথা হলে পানি পান করে নিন।

সবসময় হাসিখুশি থাকতে হবে, মূলত মাথা ব্যথার প্রধাণ করণ দুঃশ্চিতা,আপনি যখন চিন্তিত থাকবেন তখন আপনার মাথা ব্যথা বেশি হবে।উপরে সমাধানে যদি কাজ না হয় তাহলে আপনি একটা নাপা বা প্যরাসিটামল খেয়ে নিবেন আশা করা যায় ঠিক হয়ে যাবে আর হালকা করে মাথা টিপি দিলে অনেকটা ভালো লাগা কাজ করবে।

মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া

মাথা ব্যথা কমানোর যেমন উপায় রয়েছে তেমনিভাবে দোয়াও রয়েছে। কোরআন শরিফ আমাদের জন্য পুঙ্গার্ণ জীবন বিধান, এখানে সব সমস্যার সমাধান রয়েছে।মাথা ব্যথার সমাধানের জন্য এই আয়াত পড়তে হয় لا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ উচ্চারণ : লা ইউসাদ্দাউনা আনহা ওয়া লা ইয়ুংযিফুন।’ (সুরা ওয়াকিয়া : আয়াত ১৯)। এটা এভাবে পড়বে যে ব্যথা স্থানে হাত রেখে ৩ বার এই আয়াত পাঠ করবে।তাহলে মাথা ব্যথা কমে যাবে ইনশাল্লাহ।

হাদিস শরিফে রাসুল (স) বলেছেন সূরা ফাতিহা সকল রোগের সমাধান।চার কুল তথা সূরা ইখলাস,সূরা কাফিরুন,সূরা ফালাক,সূরা নাস, এবং সূরা ফাতিহা পড়ে মাথায় ফুক দিলে ব্যথা কমে যায়।দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দোয়া করলেও ব্যথা ভালো হতে পারে।

শেষ কথা

মাথা ব্যথা একটা ভীষণ প্যারাময় সমস্যা। মাঝে মধ্যে মনে হয় যদি মাথাই কেটে ফেলা হতো তাহলে শান্তি লাগতো।এজন্য এই ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাথা ব্যথা কমানোর যেসব নিয়ম রয়েছে সেসব মেনে চলুন এবং নিজেকে অতি সর্তক থাকতে হবে এবং কোন ভাবে ব্যথা না কমলে চিকিৎসা নিতে হবে।আশা করি আপনি আপনার উত্তর এবং সমাধান পেয়ে গেছেন।

আপনার যদি পোস্টটা ভালো লাগে এবং আপনি উপকৃত হোন তাহলে আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুমহলে শেয়ার করবেন এবং এরকম আরো পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

AZ TEC MAX নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url